ঠাকুরগাঁওয়ে নদ-নদীতে বাড়ছে বৃষ্টির পানি। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নদ-নদী, খাল-বিল ও নিম্নাঞ্চলের জলাশয়গুলোতে বৃষ্টির নতুন পানি প্রবেশ করছে। পানি বৃদ্ধির এই মৌসুমে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রিও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আজ রবিবার জেলার শিবগঞ্চ, মাদারগঞ্জ ও বালিয়াডাঙ্গীর উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে দূর দুরান্ত থেকে বাঁশ দিয়ে হাতের তৈরী খৈলসানি (বৃত্তি), ভাঁইড় (চোকা), চাই ও পলইসহ কারেন্ট জাল বেচাকেনার ধুম পড়েছে।
দেশীয় মাছের স্বাদ আর নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) মহামারীতে বাড়িতে বসে অবসর সময় কাটাতে গ্রামের খাল, বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষেরা।
সেই সাথে ওই সব মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রিও বাড়ছে। আর এ সকল ফাঁদ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মালি ও তাদের পরিবার। বাঁশ কেনা, বাঁশ কাটা থেকে শুরু করে শলাকা তৈরী ও ফাঁদ বোনাতে দিনের শুরু থেকে সন্ধা অব্দি কেটে যাচ্ছেন তাদের সময়।
বিক্রেতারা বলছেন, বাঁশের দাম বাড়ায় মাছ ধরার ফাঁদের দামও বেড়েছে। গতবারে এই ফাঁদ ৪শ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। এ বছর ৫শ এর নিচে বিক্রি করলে তেমন লাভ হয় না।
খৈলশানি ও ভাঁইড় কারিগড় মোহাম্মদ আলী জানান, একটি ভালো জাতের বাঁশ থেকে কমপক্ষে ২/৩ টি খৈলশানি বানানো যায়। আর প্রতিটি খৈলশানির দাম ৩শ থেকে ৪শ টাকা ও ভাঁইড় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা মুল্যে বিক্রয় করছেন তিনি।
চারিদিক পানিতে থৈ থৈ করায় এই সময়ে তাকে খুব ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তবে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যথেষ্ট ভাবে সহযোগীতা করছেন। এক ক্রেতা জানান, বর্ষাকালে এসব ফাঁদের দাম একটু বেশি। তবুও শখের বসে মাছ শিকারের জন্য খৈলশানি কিনতে আসলে তাকে অনেক বেশি মূল্যে কিনতে হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রমজান মিয়া বলেন, বছরের এই সময় গুলোতে এ সকল সরঞ্জামের দাম একটু বেশিই থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ