বগুড়ার সোনাতলার ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মরিয়ম বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও আজও তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। ওই বৃদ্ধা ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অন্যের দ্বারে না গেলে তার অন্ন জোটেনা।
বৃদ্ধা মরিয়ম বেওয়া বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামের বাসিন্দা। ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মরিয়মের ভাগ্যে আজও জোটেনি বয়স্ক ভাতা। এই বয়সেও তার দিকে কোন জনপ্রতিনিধিরা ফিরে তাকায়নি। সে ওই গ্রামের জামাতুল্লা সরকারের মেয়ে। বগুড়া শহরের কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের স্ত্রী।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তারা দু’জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও তার কিছুদিন পর ওই বৃদ্ধার স্বামী আব্দুল হালিম নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার পর ৬ মাস অতিবাহিত হতেই ওই বৃদ্ধা মোরতাজ নামের এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বৃদ্ধা মাতাকে নানীর বাড়িতে রেখে মোরতাজ শ্বশুরালয় দুপচাঁচিয়া চলে যায়। ফলে মরিয়ম বেওয়ার ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।বৃদ্ধা মরিয়ম জানান, সরকার আসে, সরকার যায় তাদের সমর্থিত মেম্বার চেয়ারম্যানরা ভোটের সময় বয়স্ক ভাতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এভাবেই কেটে যায় স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ প্রায় ৪৯ বছর। এছাড়াও তিনি আরও জানান, টাকা না দিলে জনপ্রতিনিধিরা বয়স্ক ভাতার তালিকা ভুক্ত করেনা।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শাহিনুর আফরোজ জানান, বয়স্ক ভাতাভোগীদের তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর