বাগেরহাটের মোংলা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে আঁখি সিনেমা হল সংলগ্ন একটি বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে মারধর, শ্লীলতাহানীর চেষ্টাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীদের মারধরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন তেল ব্যবসায়ী শহিদুল গাজী। এ ঘটনায় মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত শহিদুল গাজীর স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, গত ৭ নভেম্বর পৌর শহরের আঁখি সিনেমা হল সংলগ্ন তার ভগ্নিপতির পৈত্রিক বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তার অপর দুইবোন শিরিন আক্তার ও নাজমা বেগম। ওইদিন দুপুর দুইটার দিকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক ও তার সহযোগীরা মিলে তাদের ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এসময় তারা শিরিন ও নাজমার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। জোরপূর্বক তাদের গলায় থাকা সোনা গহনা ও ঘরের মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
মুক্তা বেগম বলেন, তার দুই বোনের ডাক-চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে যান তার স্বামী শহিদুল গাজী। এরপর সন্ত্রাসীরা তার স্বামী ও তার দুইবোনকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাদের মাথা পাঠিয়ে দেয় এবং শরিরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম করেন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ জানায়, মোংলা পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের বিএলএস সড়কের বাসিন্দা মরহুম আঃ সালাম ফকিরের একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে কয়েক মাস ধরে। আঃ সালামের দুই স্ত্রী, ৫ ছেলে ও এক মেয়ে ওই জায়গাটি দীর্ঘদিন সমহারে ভোগদখল করে আসছিলেন। তবে ওই সম্পত্তিটি মরহুম সালামের এক স্ত্রী এককভাবে দাবি করায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই সম্পত্তি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বরাদ্দ নিয়ে ছিলেন আঃ সালাম। আর ওই বিরোধকে পুঁজি করে বিএনপি নেতা মানিক চুক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেখানে লুটপাট, হামলা আর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এমন ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর রাতে মোংলা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দাখিল করেন সন্ত্রাসী হামলায় আহত শহিদুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম।
এ বিষয়ে মাহবুবুর রহমান মানিক বলেন, ওই ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করেছেন। মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জাহাঙ্গাীর আলম বলেন, তারা অভিযোগ পেয়েছেন। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ