৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় নিঃসন্তান দম্পতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় নিঃসন্তান দম্পতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আনুমানিক ছয় মাস বয়সী ছেলে শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় ১০ নিঃসন্তান দম্পতি। ইতিমধ্যেই তারা শিশুটিকে দত্তক নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর মডেল থানায় যোগাযোগ শুরু করেছে। কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে  জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 
গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঢাকা-আগরতলা মহাসড়কের পাশে দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশে শিশুটিকে পাওয়া যায়। শিশুর কান্না শুনে গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার কলাগাছের ঝোঁপে গিয়ে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটি দেখতে পায়। পরে তারা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিসহ পুলিশকে অবহিত করেন।
রাতেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। কোন অভিভাবক না থাকায় নার্সদের সাথে জহিরুল ইসলাম দম্পতি শিশুটিকে দেখাশুনা করছে। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক না পেলে জহিরুল ইসলাম দম্পতি এই শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তারপরও সরকার যদি শিশুটিকে আমাদেরকে দিয়ে দেয় তাহলে সন্তানদের মতো তাকেও মানুষ করার চেষ্টা করবো। ২০ বছর পরেও যদি শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক এসে ছেলেকে দাবি করে তাহলে আমরা তাকে তার প্রকৃত মায়ের হাতে তুলে দিব। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, শিশুটি বর্তমানে ভালো ও সুস্থ আছে। প্রকৃত অভিভাবকদের না পাওয়া যায় তাহলে সমাজসেবার মাধ্যমে তাকে শিশু পরিবারে হস্তান্তর করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আবদুর রহিম বলেন, এখনো শিশুটির কোনো অভিভাবক পাওয়া যায়নি। শিশুর পরিবারের সন্ধ্যানে পুলিশ কাজ করছে। অভিভাবক না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটির পরবর্তী অবস্থান কোথায় হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতিমধ্যেই দশ নিঃসন্তান দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর