বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর প্রায় আড়াই মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা ফজলুল হক বাবুকে (৪৫) দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ধুনট থানা থেকে তাকে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়। পরে তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফজলুল হক বাবু উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি দেউড়িয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বগুড়া শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, ওই ছাত্রী উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে ও স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিএনপি নেতা ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা ১৬ জুলাই গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। স্কুলছাত্রী ওইদিন সকালে বাড়ি থেকে পাশের গ্রামে নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ আগস্ট ধুনট থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মাসুদ ও ফজলুল হকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলে।
মামলার বাদী জানান, ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু থানার তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজশে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারকে চার মাস ধরে সমাজচ্যুত করা হয়। অপহরণের পর প্রায় আড়াই মাস ধরে আটকে রেখে, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ দুইজন।
বগুড়ার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, কোন স্থানে আটক রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সেই স্থানের নাম জানতে এবং মামলার প্রধান আসামির অবস্থান জানার জন্য ফজুলল হক বাবুকে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ