ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদারের নির্যাতনে নবম শ্রেণির এক ছাত্র পঙ্গু হতে বসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নির্যাতিত ছাত্রের পিতা নলছিটি উপজেলার বাউমহল গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার স্থানীয় শেওতা বাজারে চায়ের দোকান রয়েছে। চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন দোকানের জায়গা সরকারি দাবি করে গত ১০ অক্টোবর বাজারে এসে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার ক্ষুব্দ হয়ে গত ২৩ নভেম্বর চেয়ারম্যান ও তার ভাই স্থানীয় চৌকিদার দফাদার নিয়ে আব্দুল করিমের ছেলে ও সিদ্ধকাঠি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তাজমুলকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে লোহার রড দিয়ে বেদম প্রহার করে। প্রহারে তার পায়ের তলা ফেটে যায়। হাত পায়ের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ছেলেকে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো হলেও তাজমুল এখনও ঠিকমত হাঁটতে পারছে না।
এঘটনায় নলছিটি থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে ঝালকাঠির আদালতে চেয়ারম্যানসহ আট জনের নামে একটি চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন আব্দুল করিম। আদালতের নির্দেশে মামলটি বর্তমানে বরিশাল পিবিআই তদন্ত করছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদার বলেন, তাজমুল বাবা-মায়ের অবাধ্য সন্তান। সে বাবা-মাকে মারধর করে আব্দুল করিমের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে চৌকিদারের মাধ্যমে ডেকে এনে শাসানো হয়েছে। চাঁদা দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়। তারপরও বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা