১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৩২

বগুড়ায় বাঙালি নদীর চর কেটে লুট হচ্ছে মাটি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

বগুড়ায় বাঙালি নদীর চর কেটে লুট হচ্ছে মাটি!

বগুড়ার শেরপুরে বাঙালি নদীর চর কেটে মাটি লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয়ে এই মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। প্রতিদিনই অবৈধভাবে কাটা মাটি ট্রাকে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটায়। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীপাড়ের ফসলি জমি-বসতবাড়ি ও খেয়া ঘাটে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও করছেন এলাকাবাসী।

জানা যায় শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বহমান বাঙালি নদী। আর এই নদীর চোমরপাথালিয়া বাজার অংশে নদীর চর ও তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে প্রায় ৮-১০ফুট গভীর করে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। একইসঙ্গে সেসব মাটি বিক্রি করে দেওয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রাকে ভরে শ্রমিকরা নিয়ে যাচ্ছেন ইটভাটায়।
এসময় জানতে চাইলে সোলায়মান আলী, আলাউদ্দিন মেম্বারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, নদী তীরবর্তী বিশ শতক জমিটি ব্যক্তি মালিকাধীন। চোমরপাথালিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবর রহমানের ছেলে সবুজ ও মাসুদের নিকট থেকে তাদের জমির মাটি কিনে নেন সুঘাট ইউনিয়ন বালু-মাটির ব্যবসায়ী বলে খ্যাত আতিকুর রহমান রঞ্জু। পরে তিনি আরও অন্তত বিশ বিঘা বাঙালি নদীর চর সরকারি জমি দখলে নেন। এরপর ওইসব জমি থেকে দিনরাত সমানতালে অবৈধভাবে মাটি কাটার উৎসব চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে সুঘাট অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান রঞ্জু বলেন, দেড় থেকে দুই বছর ধরে মাটি-বালুর কোন ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেকার হয়ে পড়েছি। এজন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি কিনে তা বিক্রি করছি। নদী বা সরকারি কোন জমির মাটি কাটছেন না বলেও দাবি করেন তিনি। 

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ এ প্রসঙ্গে বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর