বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এজিএম বাদশাহ্কে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে।
বুধবার দুপুর ২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আফসার আলী এ তথ্য জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে আফসার আলী বলেন, ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজিএম বাদশাহ্। এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি দুই দফা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে করা শপথ ভঙ্গ করলেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালেও তিনি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এ কারণে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগ এজিএম বাদশাহ্ কে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।
স্থায়ী বহিস্কারাদেশে স্বাক্ষর করেছেন ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন। তাঁরা স্থায়ী বহিষ্কারাদেশের সুপারিশপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন।
ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, স্থায়ী বহিষ্কার করার পর এজিএম বাদশাহ্’র সঙ্গে আওয়ামী লীগের আর কোনো সম্পর্ক থাকলো না। এছাড়া আগামীতে তার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।
এজিএম বাদশাহ্ ১৯৭৮ সালে ধুনট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করে আসছেন। সর্বশেষ তিনি ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র পদে জয় লাভ করেন। ২০১৫ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও তিনি মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এজিএম বাদশাহ্ বলেন, এধরনের কোনো চিঠি বা নোটিশ আমি পাইনি এবং এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পৌরবাসীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। পৌরবাসীর ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে এবারও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশাকরি এবারও বিজয়ী হবো।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন