অপহরণের তি দিন পরও উদ্ধার হয়নি পটুয়াখালীর মহিপুরে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সেই যুবক রায়হান আহমেদ (২২)। তবে সোমবার ভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত এ পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুয়াকাটা এলাকা থেকে ৩ নং আসামি ইলিয়াস ও আলীপুর বাজার থেকে ৯ নং আসামি ইউসুফ ব্যাপারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলায় বলা হয়েছে, মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক ও শুঁটকি ব্যবসায়ী রায়হান বৃহস্পতিবার দুুপুরে বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি তালতলী রওয়ানা হয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ নেই। শুক্রবার থেকে তাকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় রবিবার ৯ জনের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় কাশেম মিয়া একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে লতাচাপলীর ফাঁসিপাড়া গ্রামের নেছার সিকদারের ছেলে কিশোরগ্যাং ইমাম শিকদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা নির্দয় নির্যাতন চালায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহিপুর থানা পুলিশ নির্যাতন কারীদের ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে।
রায়হানের বাবা আবুল কাশেম মিয়া বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে শুক্রবার ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওতে দেখা যায় রায়হানকে গাছের সঙ্গে হাত বেঁধে একটি নির্জন বনের মধ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় ইমাম শিকদারের (ইমন) নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক বেধড়ক পেটাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে রায়হানের অবস্থান জানতে ছেলের বউ মহিমার কাছে মোবাইলে কল করেন। কিন্তু রায়হান শ্বশুর বাড়ি যায়নি বলে জানতে পারেন। এতে স্ত্রী ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় রায়হানের বাবা বাদী হয়ে ৯ জন আসামির নামোল্লেখ করে থানায় মামলা দায়েরের পর দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ৩ ও ৯ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। রায়হানকে উদ্ধারের চেষ্টা এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন