নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবিরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম-নীতি বহিঃভূর্তভাবে বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ, বিএড, স্কেল পরিবর্তন ও শিক্ষক এমপিওসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির গত ১০ জুলাই ২০১৯ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে সাপাহারে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিএডসহ বিভিন্ন স্কেল পরিবর্তন, শিক্ষক এমপিওসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। প্রতিটি নিয়োগে প্রার্থীদের দিতে হয় পঞ্চাশ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত।
এছাড়াও সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের সুবিধামতো সময়ে অফিসে আসেন তিনি। চাকরি করেন সাপাহারে আর বসবাস করেন রাজশাহীতে। সকাল ৯টা হতে ৫টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও প্রায় প্রতিদিন দেরিতে অফিসে আসেন। অভিযোগ আছে ছুটি না নিয়ে অফিস ফাঁকি দেওয়ার। অফিস চলাকালিন সময়ে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আসেন। কিন্তু অফিসে এসে দেখতে পান শিক্ষা অফিসারের চেয়ার আছে কিন্তু অফিসার নেই। এভাবে দীর্ঘদিন থেকে কাজের সুবিধা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষকদের নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা জানান, সরকারি নিয়ম নীতি বহিঃভূর্তভাবে স্কুলে বিভিন্ন নিয়োগ, বিএড, স্কেল পরিবর্তন, শিক্ষক এমপিওসহ বিভিন্ন কাজে টাকা ছাড়া কোনো প্রকার কাজ করেন না তিনি। একজন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগের কারণে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির জানান, নিয়োগসহ বিভিন্ন কাজে কারো কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা গ্রহণ করা হয়নি। শুধুমাত্র নিয়োগ বোর্ডের জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে একটি সম্মানির অংশ নিয়োগ বোর্ড গ্রহণ করে থাকে।
জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, সাপাহার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৩১ জানুয়ারি কোনো ছুটি নেননি। তার অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে কোনো প্রকার তথ্য নেই। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন