বরগুনার আমতলি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুউদ্দিন উদ্দীন ছজুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আদেশ দিয়েছেন বরগুনার যুগ্মজেলা জজ আদালত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপী ঋণের তালিকাভূক্ত তথ্য গোপন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। এ জন্য তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই রায় ঘোষণা করেন বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ ১ম ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক, আব্দুলাহ আল মামুন।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আমতলি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। তখন তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত একজন ঋন খেলাপি থাকা সত্বেও বিষয়টি গোপন করেন। রুপালী ব্যাংক পটুয়াখালী নিউটাউন শাখায় ৩টি ঋণ খেলাপি ছিল তার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তিনি ঋণখেলাপি নন মর্মে প্রত্যায়ন দেন।
২১/৪/২০১৯ তারিখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সামসুউদ্দিন ছজু গোলাম সরোয়ার ফোরকানের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা ও বাতিল চেয়ে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণার আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ম- এ মামলা দায়ের করেন। ১ বছর ১০ মাস পরে আজ আদালত গোলাম সরোয়ার ফোরকানের মনোনয়নপত্র অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা সামসুউদ্দিন ছজু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি, বাংলাদেশের নির্বাচনী মামলার ইতিহাসে এটি যুগান্তকারী রায় বলে মনে করছি। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবেই। বিজ্ঞ আইনজীবীদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আ্যাডঃ নজরুল হামিদ, আ্যাডঃ জগদিশ চন্দ্র এবং প্রয়াত আ্যাডঃ মনিরুল ইসলাম নিজাম।
বাদীর আইনজীবী জগদীশ চন্দ্র বলেন, আমরা আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, বিবাদী গোলাম সরোয়ার ফোরকান সত্য গোপন করেছেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনী জয়ী হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ঋণ খেলাপি হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য।
এ ব্যাপারে জানতে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। রিং হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা