ঢাকায় বসে মিথ্যাচার, শিক্ষামন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপাচার্যের ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বেরোবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, উপাচার্য সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। স্পিকারসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। এমনকি ইউজিসি বিষয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। সরকারের উন্নয়নসহ সবকিছু বিষয়েই তিনি বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছেন। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। অতি দ্রুত এসব মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ছাড়া উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হয়েও উপাচার্যের অনুপস্থিত থাকা, নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাস, ইচ্ছেমতো পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক প্রশাসনিক পদ দখল ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন, উপাচার্যের অননুমোদিত ও অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং, ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, চরম শিক্ষক সংকটসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ায় আজ তিনি ঢাকায় বসে মিথ্যাচার করেছেন।
উপাচার্যের মদদে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি সংঘঠিত হয়েছে এবং উপাচার্য নিজেও যেভাবে আইন অমান্য করে চলছেন, তাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ পড়াশোনার পরিবেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। অথচ তিনি সংবাদ সম্মেলনে আগের ভিসিকে দোষ দিয়েছেন। এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের শাস্তিসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি এইচ এম তরিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
