৭ মার্চ, ২০২১ ১৮:৪৫

'সাদা সোনা'র বাম্পার ফলনে দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

'সাদা সোনা'র বাম্পার ফলনে দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

বিগত সময়ে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবছরেও দিনাজপুরের খানসামার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ব্যাপক ‘সাদা সোনা’ খ্যাত রসুন আবাদ করেছেন চাষিরা। এ অঞ্চলে রসুন চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বাম্পার ফলনও হয়েছে, কিন্তু দাম নিয়েও শঙ্কায় চাষিরা।

কারণ কয়েক মাস আগেও রসুন প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হত সেটার দাম কমে গিয়ে বর্তমানে ২৭-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খানসামা উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৩১০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে প্রায় ৩৭৫০ হেক্টর জমিতে। সেচ-সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। অল্পদিনের মধ্যেই এসব রসুন ঘরে তুলতে পারবেন চাষীরা। এরইমধ্যে রশুন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। 

খানসামার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, কাচিনীয়া, আগ্রা ও ছাতিয়ানগড় গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, এবছর রসুন চাষও যেমন বেশী, তেমন ফলনও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু দাম নিয়ে ব্যাপক শঙ্কায় চাষিরা। শুরুতে রসুনের ভালো দাম থাকলেও শেষ সময়ে দাম কমেছে। এতে লোকসানের আশঙ্কায় আছে লাভের আশায় থাকা রসুন চাষিরা। 

এ ব্যাপারে রসুন চাষি মশিউর রহমান জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা এবং বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরো ২৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ৬০-৬৫ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন ৩০০০ টাকা করে দাম হয় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা কিন্তু এখন এর বাজার মূল্য মাত্র ৭৫ হাজার টাকার মত। তবে কয়েকদিন পরে এসব রশুনের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে অনেক চাষি মনে করছেন। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর