ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ১নং ছনধরা ইউনিয়নে প্রায় ৫ বছর ধরে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ইটভাটা চলছে। এতে ভাটার কালো ধোঁয়া ও ছাই ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার বাসিন্দারা। ইটভাটার মালিকপক্ষ প্রতাপশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও লোকালয় থেকে অন্তত এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না বলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফুলপুর উপজেলার হাটপাগলা গ্রামে 'দারুল উলূম দাখিল মাদ্রাসা' ঘেঁষে গড়ে তুলেছেন ‘মেসার্স দেশ ব্রিকস’।
হাটপাগলা দারুল উলূম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জিয়াউল হক বলেন, 'এই ইটভাটা করার শুরতেই আমরা নিষেধ করেছি। কিন্তু কিছু অসাধু লোক ইটভাটার জমি লীজ দিয়ে সহযোগিতা করায় তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।'
এই ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও ছাই উড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আশ-পাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত এখান থেকে ইটভাটা সরানোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার সীমানাঘেঁষে কাঁচা-পাকা ইট সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ঘরের চালে ভেসে আসছে কালো ধোঁয়া ও ছাই। এর ফলে দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান।
এই ব্যাপারে ইটভাটার ইঞ্জিনিয়ার বদরুল আলম লিটন বলেন, 'উপজেলায় এ ধরনের আরও অনেক ইটভাটা রয়েছে। তাদের মতো করে আমরাও চালাচ্ছি।' এদিকে ছনধরা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'মাদ্রাসা ঘেঁষে ইটভাটা ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে এলাকাবাসীও। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য লিখিত অভিযোগ পাঠানো হবে।'
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির