ঢাকার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলি কবরস্থান এলাকায় গাজীখালী নদীর ওপর সেতুটিতে উঠতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো বেয়ে। এতে প্রতিদিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লাখো মানুষ। এছাড়াও নদীর মাঝখানে সেতুটিও এক পাশ বাঁকা হয়ে আছে। যে কোন সময় ধসে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। সেতুর দু-পাশে মাটি না থাকার কারণে এমন দুর্ভোগ হচ্ছে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের বাথুলি কবরস্থান এলাকায় কয়েক গ্রামের মানুষের ভাগ্যে বদলের জন্য সরকার গাজীখালী নদীর ওপর সেতটিু নির্মাণ করে। যখন সেতুটি নির্মাণ করা হয় তখন নদীটি ছিল সরু। বর্তমানে গাজীখালী নদীতে ড্রেজার লাগিয়ে খনন করার কারণে সেতুর দু-পাশের মাটি সরে যায়। এতে সেতুটি নদীর মাঝখানে পড়ে যায়। সেতুর পাশে মাটি না থাকার কারণে ধামরাইয়ের আটিগ্রাম, কাটিগ্রাম, মালটিয়া, ভগবানপুর, কান্দাপাড়া ও বাথুলিসহ কয়েক গ্রামের লাখো মানুষের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে আসে। উপায় না পেয়ে গ্রামবাসীরাই সেতুর দু-পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে সেতুর সাথে সংযোগ করে। এরপর তারা পায়া হাঁটা শুরু করে। তবে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। যার কারণে এলাকার উন্নয়নও থেমে যায়।
কাটিগ্রাম এলাকার কিয়ামত আলী, ভগবানপুর গ্রামের জুলমত আলী জানান, সেতুটি যখন নির্মাণ হয় তখন ভেবেছিলাম আমাদের এলাকার উন্নয়নের দ্বার খুলবে। এখন দেখি উন্নয়ন তো দূরের কথা এখন একটি ভ্যানগাড়ি নিয়েও বাড়িতে আসতে পারি না। এখন সেতুটি এমন অবস্থা হয়েছে বাঁশ বেয়ে উঠতে হচ্ছে সেতুতে। তারপর পার হতে হচ্ছে আমাদের। ঝুঁকি তো আছেই।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন