হবিগঞ্জের কাকাইলছেও-আজমিরীগঞ্জ সড়কের বেহালদশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে যাত্রীদের। সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, কাকাইলছেও চৌধুরীবাজার থেকে সৌলরী হয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদরের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। এক সময় আজমিরীগঞ্জ নৌ-টার্মিনাল থেকে কাকাইলছেও নৌকাঘাট পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌকা পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনের ট্রলার চলাচল করত। ১৯৯৬ ইং সনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর হবিগঞ্জ-২ অর্থাৎ বানিয়াচং- আজমিরীগঞ্জ আসনের মাননীয় সাংসদ এডভোকেট মোঃ শরীফউদ্দিন এর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। একই সালে তিনি ওই আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর কাকাইলছেও-আজমিরীগঞ্জ দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার সড়কের কালনীপাড়া ও বদলপুর গ্রামের অদূরে জাইকার অর্থায়নে দু'টি বেইলী ব্রিজ নির্মাণসহ ওই সড়কের মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে সড়কটির একাংশ ইট সলিং এর মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। এ সময় কয়েকটি যাত্রীবাহী টমটম ও রিকশা চলাচল শুরু করে। পরবর্তীতে রাস্তার একাংশ ঢালাইয়ের দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। সময়ের বিবর্তনে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রীবাহী ইঞ্জিনের ট্রলার। ব্যাপকভাবে শুরু হয় যাত্রীবাহী টমটম ও বিভিন্ন গাড়ি চলাচল।
গত বর্ষা মৌসুমে টানাবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল বন্যার পানিতে কালনী- কুশিয়ারা ভেড়ামোহনা ও বশিরা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল সহ সড়কটি তলিয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক সময় পানি নেমে গেলে, দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার রাস্তার ৯০ ভাগেরই ঢালাই কার্পেটিং ভেঙ্গে খানা-খন্দে পরিণত হয়। দেবে যায় রাস্তার অধিকাংশ স্থান। এরই ধারাবাহিকতায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সড়কের বিভিন্ন স্থান সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। অধিকাংশ অংশ এখনও সংস্কারের বাকি রয়েছে। এ সব স্থানে যাত্রী সাধারণ টমটম, রিকশা ও মোটরসাইকেলের মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে তারা। তাই অচিরেই ওই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন