৬ মে, ২০২১ ১৩:৪৮

দিনাজপুরে সাড়া ফেলেছে নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর থেকে:

দিনাজপুরে সাড়া ফেলেছে নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে

করোনার এই সময়েও স্বাস্থ্য ঝুঁকির ভয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে নিরাপদ উৎপাদিত সবজি ক্রেতাদের হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। দেশে সবজি উৎপাদনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক। এর ফলে মানুষ যেমন রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে তেমনি আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল রোগে। এ থেকে মুক্তি পেতে কৃষি বিভাগ সারা দেশে ৮উপজেলার ৮ ইউনিয়নে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। 

এ প্রকল্পের আওয়াতায় রংপুর বিভাগের দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নকে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থপনা (আইপিএম) মডেল ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষনা করেছে। এই সাতোর ইউনিয়নে ২০টি দলের ৫০০জন কৃষক-কৃষাণী আইপিএম পদ্ধতির প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০০একর জমিতে সারাবছর ধরে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত লাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, টমেটো, করলা, শসা ইত্যাদি উৎপাদন করছে। এছাড়াও জৈব প্রযুক্তি ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে অন্যান্য কৃষকরা নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করছে।

উৎপাদিত সবজি বিক্রয়ের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে বীরগঞ্জ শহরের দৈনিক বাজারে একটি নিরাপদ সবজি বিক্রয় কেন্দ্র চালু করেছে। ক্রেতাদের হাতে নিরাপদ সবজি পৌছে দেওয়া এই উদ্যোগের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে আসা ক্রেতা মোঃ শাহাজাহান সিরাজ বুলবুল, রাজ্জাকসহ অনেকে জানান, কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এই বিক্রয় কেন্দ্রের পন্য নিরাপদ এবং বিষমুক্ত। এটি ক্রেতাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং আশ্বস্ত করতে পারলে এই উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখবে। 

বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, প্রশংসনীয় কৃষি বিভাগের এই প্রকল্পটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে মানুষ অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে। এ উদ্যোগের ফলে মানুষ কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আইপিএম মডেল বলতে পরিবেশকে দুষণমুক্ত রেখে এক বা একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিকর পোকা ও রোগ-বালাইকে অর্থনৈতিক ক্ষতির সীমার নীচে রেখে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করাকে বুঝায়। আইপিএম মডেল ইউনিয়নে ২০টি নিরাপদ সবজি উৎপাদনকারী দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে ২৫জন সদস্য হিসেবে ৫০০জন কৃষক-কৃষাণী রয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ ভাগ নারী সদস্য রয়েছেন। প্রত্যেক সদস্যের ২০শতাংশ জমি নিয়ে ৫একর জমিতে সারা বছর আইপিএম পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদিত সবজি ক্রেতাদের হাতের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। চাহিদা বাড়লে বিক্রয় কেন্দ্রও বাড়ানো হবে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর