অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একই সাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মিত ১০টি দোকান তার আপন ভাই ও ফুপাতো ভাইয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া।রাজস্ব তহবিল ব্যবহারেরর নির্দেশনা অনুসরণ না করেই গবীর ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে নিজস্ব লোকের সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল ৫ মে (বুধবার) মন্ত্রণালয় থেকে এমন প্রজ্ঞাপন পেলেও আজ বৃহস্পতিবার তাদের কাছে প্রজ্ঞাপনটি এসেছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো বিভাগীয় কমিশনারের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে জবাব প্রদানের জন্য বলা হলেও তিনি জবাব দেননি এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিগত শুনানি প্রদানের জন্য বলা হলেও তিনি শুনানিতে অংশগ্রহণ করেনি। সেহেতু উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (উপজেলা পরিষদ (সংশোধন আইন,২০২১ দ্বার সংশোধিত) এর ১৩ খ ধারার বিধান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো এবং পাংশা উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো।
বহিষ্কার প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ফরিদ হাসান ওদুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, মন্ত্রণালয় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সততা এবং নিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করবো।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত