আতঙ্ক বাড়ছে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন নিয়ে। দ্রুত সংক্রমণশীল করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। ঠিক তখনই ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারি সদস্যরা সক্রিয় হয়ে অবৈধ পথে গরু আনায় ব্যস্ত। জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রাতের আঁধারে ভারতীয় গরু ঢুকছে এমন অভিযোগ সীমান্তবাসীর।
এসব ভারতীয় গরু পৌঁছে যাচ্ছে উপজেলার লাহিড়ী বাজার হাট ও নেকমরদ হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ব্যবসায়ীরা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছেন গরু কিনতে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে ভারত থেকে ঠাকুরগাঁও সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
করোনার বিস্তার রোধে সীমান্তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এমন দাবি বিজিবি’র। যাতে ভারত থেকে করোনাভাইরাসের জীবাণু বাংলাদেশে আসতে না পারে। জেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু করোনার বিস্তার রোধে এখনো সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সীমান্ত এলাকাবাসী জানান, পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আসতে পারে। তবে কেন গরু আসা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা বোধগম্য নয়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে সীমান্তে করোনা বিষয়ক প্রচারণা করাসহ সীমান্তবাসীদের জানানো হয়েছে, কোনো রকম অনুপ্রবেশ লক্ষ করলেই তারা যেন বিষয়টি আমাদের দ্রুত অবহিত করেন। এছাড়াও অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে টহল জোড়দার করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সকল রকমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজিবি ও ইউএনও’র সাথে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই