কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্মার্টফোন হারিয়ে ফেলার অভিমানে এক গৃহবধূ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার নাম হাওয়ানুর বেগম (২৭)। তিনি মোবাইল ফোন হারিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তার স্বামী পরিবার দাবি করেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আবু সিদ্দিকসহ ৫ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামীর পরিবারে স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে থেতরাই ইউনিয়নের দড়িকিশোরপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে হাওয়ানুরের সঙ্গে প্রতিবেশী জহুরুদ্দিনের ছেলে আবু সিদ্দিকের বিয়ে হয়। গত সপ্তাহে নিহতের স্বামী সিদ্দিক তাকে একটি স্মার্টফোন কিনে দেন। কিন্তু কেনার মাত্র ৩-৪ দিনের মাথায় তিনি ওই স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেন। এতে হাওয়ানুর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কাউকে না জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তার শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁসি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামীসহ আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
তবে হাওয়ানুর বেগম আগে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানান এলাকাবাসী।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা লাশের ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ