মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বাড়ির সীমানা কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত একজন এখনও আইসিইউতে আছেন। গত ২২ জুলাই উপজেলার গাওদিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও আজ বরিবার লৌহজং থানায় এ সংত্রান্ত একটি মামলা হয়েছে।
২২ জুলাই ঈদুল আজহার পরদিন প্রতিবেশী আবুল মোল্লা তার সন্তানের নিয়ে মৃত ফালান খানের ছেলে ফারুক খান (৪২) ও লতিফ খানের (৬৫) উপর শাবল ও কোরবানির চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফারুককে আইসিইউতে রাখা হয় এবং লতিফ খানের (৬৫) মাথায় ১৯টি সেলাই দেওয়ার পর লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ফারুক খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি স্বজনদের। ফারুক খান ও লতিফ খান পেশায় দুজনেই দিনমজুর। হামলার ঘটনায় আহতদের চাচাতো ভাই মো. অহিদুল খান বাদী হয়ে লৌহজং থানায় আবুল মোল্লাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাওদিয়া গ্রামের ফারুক খান ও লতিফ খানদের সাথে আবুল মোল্লার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে ১৯৯৫ সাল নিজেদের পক্ষে রায় পান ফারুক ও লতিফ খান। কিন্তু আদালতের রায় অমান্য করে আবুল মোল্লা জমি দখল করে জায়গা ভাড়া দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন ঢালী, সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজ ও জয়নাল জানান, আবুল মোল্লা দুষ্টু প্রকৃতির লোক। বিচারে বসার কথা বললেও সে বসতো না। তাছাড়া দাবি করা জমির কোনো দলিলপত্র দেখাতে পারেনি আবুল। গ্রামে নানা বিষয়ে নানাজনের সাথে ঝামেলা পাকাতে ওস্তাদ আবুল। এই জন্য এলাকায় তিনি গিরিঙ্গি আবুল নামে পরিচিত।
হামলার বিষয়ে মোবাইল ফোনে আবুল মোল্লা বলেন, আমি ও আমার সন্তানেরা কাউকে মারিনি। ওই জমি আমাদের। আমি কারও জমি দখল করিনি।
লৌহজং থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন জানান, রবিবার এ বিষয়ে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার