অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ইন্দ্রবতী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার তিন আসামি বুধবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
গ্রেফতার আসামিরা হচ্ছে, কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার আবদুল আল কাইয়ূমের ছেলে মোঃ রাজু হোসেন (১৭), ছোটরা এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইলিয়াস (১৯) ও রেইসকোর্স এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ ফেরদাউস (১৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাকসুদ আলম জানান, গ্রেফতার আসামিরা ও নিহত অটোরিকশা চালক বন্ধু ছিলো। তাদের মধ্যে মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিলো। সোমবার বিকেলে আসামিরা ১৫০ টাকা ঘন্টা হিসেবে ভাড়া নিয়ে মোঃ সাকিবের অটোরিকশা যোগে ঘুরতে বের হয়। রাতে বুড়িচং উপজেলার ইন্দ্রবতী এলাকায় গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এসে সাকিবের হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে অটো রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বুড়িচং থানা পুলিশ ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল গাজী অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নামে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর পুলিশের একাধিক দল আসামিদের ধরতে অভিযান চালায়।পরে মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় একটি দোকানে ব্যাটারি বিক্রির সময় আসামি ইলিয়াসকে আটক করে পুলিশ। তাঁর দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের বিনন্দিয়ারচর এলাকা থেকে অটো রিকশাটি উদ্ধার করে। আসামি ইলিয়াসকে জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনা খুলে বলে ও বাকী আসামিদের নাম জানায়। পুলিশ রাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাকী দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, আসামিদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতে হাজির করলে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালত আসামিদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে গোমতী বাঁধের সাথে বিলের কিনারায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। নিহত সাকিবের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে সে কুমিল্লা নগরীর দৌলতপুর এলাকায় ভাড়া থাকতো।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
