অল্প খরচে লাভ বেশি এবং ফলন ভালো হওয়ায় দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছে নীলফামারীর কৃষকরা। কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে কলা চাষে। কলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। কলাগাছ, কলাপাতা, কলাগাছের শেকড় ও কলা সবই উপকারী। প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে কলায়।
কলা চাষ করে অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কলার ফলন ও বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম।
জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বিন্নাকুরী গ্রামের অলিয়ার রহমান বলেন, জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে কলার ভালো ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি এবং শ্রমিক খরচ অনেক কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসব জাতের কলা আবাদের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতগুলো হচ্ছে হিম সাগর, সবরী ও চম্পা অন্যতম। পর্যাপ্ত রোদযুক্ত ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বব দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। জেলার বেশিরভাগ জমি দো-আঁশ মাটি হওয়ায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী এলাকার কৃষক ইব্রাহীম আলী জানান, কলার চারা বছরে তিন সময়ে রোপণ করা হয়। প্রথম রোপণকাল বাংলা সনের আশ্বিণ ও কার্তিক মাস সবচেয়ে ভালো সময়। দ্বিতীয় কাল, মাঘ-ফাল্গুন ও চৈত্র-বৈশাখ মাস চারা রোপণের জন্যে ভালো সময়। চারা রোপণের জন্য সারিবদ্ধভাবে গড় ২ মিটার দূরত্বে রোপণ করতে হবে।
কলা গাছের প্রধানতম রোগগুলো হচ্ছে পানামা, বানচিটপ ভাইরাস, সিগাটোকা ও কলার দাগ রোগ।কলার চারা রোপণের ১১-১৫ মাসের মধ্যেই সাধারণত সব জাতের কলাগাছ থেকে কলা সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।
নীলফামারীর সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়নের কলা চাষি বাসুদেব জানান, এখানকার কলার বেশ চাহিদা থাকায় এই কলা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এসে কলা কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নীলফামারী জেলায় ১৬৯ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই