ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ব্রিজ সংস্কার না হওয়াই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে পন্য-পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষের যাতায়াত। প্রায় দুই বছর আগে নদী খননের পর বর্ষায় ধ্বসে ভেঙে পড়ে ব্রিজের একাংশ। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার কিছুদিন পর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সাকো তৈরি করা হলেও সেটিও ভেঙে গেছে। বাঁশের সাকোটিও এখন অকজো অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত সংস্কারের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বারোবাজার ফুলবাড়ীয়া রেলগেট টু হাসানহাটি সড়কে ভৈরব নদের উপরে ঝনঝনিয়া গ্রামের ব্রিজ। পাশ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াতের পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্রিজটি ব্যবহার করে আসছিল। পাশাপাশি দু-পাশের কৃষকের ক্ষেতের সবজি ঝিনাইদহ ও যশোরের চুড়ামনকাঠিসহ বিভিন্ন বাজারে পৌছাতেও ব্যবহার করা হয় ব্রিজটি। কিন্তু প্রায় দুই বছর আগে ভৈরব নদের এই অংশটি খনন করা হয়। খনন করার ফলে পরবর্তী বর্ষার পানির চাপে ভেঙে পড়ে ব্রিজের একাংশ। বর্তমানে এই স্থান দিয়ে সাবধানতার সাথে কোনরকমে মানুষ পার হলেও বন্ধ রয়েছে ভারি যানবাহন,ভ্যান ও রিক্সা চলাচল।
এসব গ্রামের মানুষ জানান, দীর্ঘদিন ভেঙে থাকার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘ প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরে যশোরের মান্দারতলা এলাকার পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। তবুও কেউ খোঁজ নেয় না।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. রুহুল ইসলাম জানান, চলাচলের অযোগ্য ব্রীজটি অচিরেই পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, ৬০ মিটার দৈর্ঘের ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। একাজের টেন্ডারও সম্পন্ন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওয়ার্ক অর্ডার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল