মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কাঞ্চনপুর থেকে আন্দারমানিক পর্যন্ত এলাকার লোকজন। হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর হইতে আন্দারমানিক পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনে অনেকে কৃষি জমি ও বাড়ি ঘর হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এলাকার লোকজন আর ত্রাণ বা কোনো ধরনের সহযোগিতা চান না। তাদের দাবি একটাই ভাঙ্গন রোধ। আগে কোন লঞ্চ বা স্পিডবোর্ড দেখলে এলাকার লোকজন ত্রাণের জন্য ছুটে আসতো। এখন তারা লঞ্চ বা স্পিডবোর্ড দেখলে একত্রিত হয়ে বাধের দাবিতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। তাদের দাবি একটাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের। তারা কোনো ধরনের ত্রাণ বা সাহায্য চান না।
মো. আজিজ মিয়া (৬৭) বলেন তিনবার আমার বাড়ি নদীতে ভাংছে। আমি পরের জায়গায় থাকি। নুরু বেপারী, সোনামিয়া সহ অনেকেই বলেন অনেক বড় বড় লোক শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন শক্ত বাধ করে দিবেন। কিন্তু কিছুই করেন না। তারা আরও বলেন যেসব জায়গায় বালির বস্তা ফেলা হইছে সেখানে ভাঙ্গে নাই। যে জায়গায় খারাপ কাজ হইছে সেইখানে আর বস্তা না ফেলা জায়গায় ভাংছে। সময় মত বালির বস্তা দিলে আমরা ঠিকানা হারাইতাম না।
জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সালাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার নদী ভাঙ্গন রোধ ও নদী খনন, নদী শাসন সহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। কিন্তু এখানে কাজ হচ্ছে না কেন এটা আমার বোধগম্য নয়। মাঝে মধ্যে কিছু বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যাবে না। সঠিক পরিকল্পনা করে স্থায়ী টিকসই বাধ নির্মাণ করতে হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন বলেন ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর