নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি মো. মঞ্জুর আজিম সুমনসহ আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগের গ্রেফতার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমলের স্বীকারোক্তিতে নাম আসায় সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর এলাকার মো. মঞ্জুরুল আজিম সুমন, দক্ষিণ পূর্ব হাজিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম সুজন, মধ্য হাজিপুর এলাকার রাজু রহমান।
বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কমলের ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু ও মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার নাম আসে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাঙামাটি থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলায় ২৯টি মামলা হয়েছে। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ২১২ জনকে।প্রসঙ্গত, কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর নোয়াখালীর চৌমুহনীর বিভিন্ন মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাট হয়। জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৯টি মামলা হয়েছে। যাতে ৪১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরও ৫ হাজার আসামি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ