ঢাকার ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হামলা সংঘর্ষ অভিযোগ মামলা দেয়ার পর সেই বিদ্রোহীরাই এখন নিজের জন্য ভোট না চেয়ে নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছেন। হঠাৎ করেই তাদের এমন পরিবর্তনে আতংকিত হয়ে পড়েছেন আরও কয়েকটি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
শুক্রবার বিকালে সুয়াপুর ও রোয়াইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শক্তিশালী বিদ্রোহী দুই প্রার্থীর নৌকায় ভোট ধাওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। তবে অনেকে ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে আগে ঝড় ঝাপটা যাই আসুক মাঠ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন। এতে এলাকাবাসী ধারনা করছেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এ নির্বাচনে।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের ১৫টি ইউনিয়নে ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রার্থীরা। ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩ ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে মাঠে নেমে গরম করে তুলে তারা। এতে জোয়ার উঠে জয়ের। এভাবে ব্যাপক প্রচারে তাদের সাথে নৌকার প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চরম ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে কয়েকটি ইউনিয়নে আহত হন বিদ্রোহী প্রার্থী হাফিজুর রহমান সোহরাবসহ অর্ধশতাধিক। পাল্টাপাল্টি মামলা ও গ্রেপ্তার হয় কয়েকজন।
হঠাৎ করেই ব্যাপক প্রচার থমকে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজের জন্য ভোট না চেয়ে নৌকার জন্য ভোট চাওয়া শুরু করে। মুহূর্তেই পাল্টিয়ে যায় নির্বাচনের চিত্র। অবাক হন অনেকেই। শুক্রবার বিকালে সুয়াপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান ও রোয়াইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম সামসুদ্দিন মিন্টু নৌকার প্রার্থীদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান। এতে ১১ ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে চরম আতংক দেখা দিয়েছে।
তবে সোমভাগ ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভাষক আওলাদ হোসেন বিকেলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাঁধা হামলা মামলা যাই আসুক নির্বাচনের আগে মাঠ ছাড়তে রাজি নই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় নিশ্চিত বলে জানান তিনি। সাধারণ ভোটাররা জানান, ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে যে ধরনের সহিংসতা শুরু হয়েছে। তা কঠোর আকার ধারণ করবে কিনা তা জানি না। তবে এ অবস্থার উন্নতি না হলে ভোটাররা অনেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর