অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে ঢাকার সাথে যশোর বেনাপোলের যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস।
আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি পুনরায় চলবে এমন ঈঙ্গিত দিয়ে রেল মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র দেয়া হয়েছে বেনাপোল রেলওয়ে কতৃর্পক্ষকে। করোনাকালীন সময় থেকে প্রায় দেড় বছর বন্ধ রয়েছে ট্রেনটি।
বেনাপোলের সাথে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়ে বেনাপোল একপ্রেস। এছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে দেশের সব ট্রেন বন্ধ হলে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগর এ ট্রেনটি সরকার বন্ধ করে দেয়। বেশ কিছু দিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অজ্ঞাত কারণে চালু হয়নি ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। ফলে কষ্ট এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভারত যাতায়াতকারী অসুস্থ পাসপোর্ট যাত্রীদের। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকেন।
সড়ক পথের বেহাল দশা ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। বর্তমানে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারতে যাচ্ছেন এক হাজারেরও অধিক যাত্রী। দেশে ফিরছেন অনুরূপ সংখ্যক। যাত্রীদের ৯৫ শতাংশ অসুস্থ। ট্রেন না থাকায় এসব যাত্রীদের বাড়িতে ফেরার জন্য অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বেনাপোল থেকে ঢাকায় যেতে পরিবহনে সময় লাগে ১২-১৪ ঘণ্টা। সেখানে ট্রেনে নির্বিঘ্নে সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যায়। সপ্তাহে একদিন বিরতি দিয়ে প্রতিদিন দুপুর ১টায় বেনাপোল এবং রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর ছাড়ে বেনাপোল একপ্রেস।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ট্রেনের চলাচল পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরে অন্যসব জায়গায় আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে একমাত্র ট্রেনটি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন