রংপুর নগরীর প্রাণ কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী খাল বাঁচাতে ৮ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় এসোড মিলনায়তনে দখল দূষণে বিপর্যস্ত শ্যামাসুন্দরী খাল; জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় করণীয় নিয়ে আলোচনা সভায় এই সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা এর উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামাসুন্দরী খাল এক সময় রংপুরের মানুষের জন্য অর্শিবাদ হলেও দকল- দূষণে এখন তা অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
সভার সুপারিশগুলো হচ্ছে, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খালের সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা, তালিকা অনুয়ায়ী দখলদারদের উচ্ছেদ করা, দূষণকারিদের চিহ্নিত করে দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা, খালের সাথে যুক্ত সকল পয়ঃনিস্কাষণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, দুই পাশে প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা, জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি করে সপ্তাহে একদিন দখল, দূষণ, এবং খাল বিনষ্টে কেউ চেষ্টা করছে কী না তা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং খালটি সংরক্ষণে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা। মহিলা পরিষদ রংপুরের সভাপতি হাসনা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর উপ-পরিচালক মেজবাবুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব।
বক্তব্য রাখেন বেলা রাজশাহীর সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল, শ্যাডো নির্বাহী পরিচালক সারোয়ার জামিল খন্দকার। এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন বেরোবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, সুজন মহানগরের সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন লেখক রেজাউল করিম মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম, আফতাব হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রংপুরের বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন