সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা, নেতৃত্ব প্রদানে অযোগ্যতা ও অদক্ষতার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
একই সাথে অন্য বিজ্ঞপ্তিতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদের জন্য আগ্রহীদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা প্রদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরস ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেনের সিদ্ধান্তে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হককে দলের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়াও গত ৭ জানুয়ারি একই অভিযোগে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাজুকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের শহীদ এম.মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অধিবেশন শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন সম্মেলনে নতুন নতুন নেতা নির্বাচন বিষয়ে নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই দলের একাংশের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চের সামনে হইচই ও হট্টগোল শুরু করে দেন। এ সময় মঞ্চে থাকা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। এ কারণেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৩ বছর পর গত বছরের ১৫ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে রাশেদ ইউসুফ জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক পদে একরামুল হক নির্বাচিত হয়। সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি। তার আগেই কমিটি বিলুপ্ত করা হল।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর