মাগুরায় ৭৩ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ‘জেলায় মোট জনসংখ্যা ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৬ জন। তার মধ্যে ৪২ হাজার ৩৩২ জন বিদেশে থাকেন। শূন্য থেকে ১২ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৫ জন। সে হিসেবে টিকা নেওয়ার উপযোগী মানুষের সংখ্যা ৮ লাখ ১৬ হাজার ৪০১ জন। মোট জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ। এই ৭৫ শতাংশ জনগোষ্টীর মধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষকে মাগুরায় ইতোমধ্যে করোনা টিকা প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়েছে। প্রথম ডোজ নেয়া মোট জনগোষ্টির সংখ্যা ৭ লাখ ৮২ হাজার জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিদেশে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী জনগোষ্ঠির সঙ্গে ০ থেকে ১২ বছর বয়সীদের পরিসংখ্যান মোট জনগোষ্ঠী থেকে বাদ দিলে কোন অবস্থাতেই মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব নয়। ফলে টিকার শতভাগ ঘোষণার ক্ষেত্রে উল্লেখিত পরিসংখ্যানটি না মেলালে সেটি জটিলতা তৈরী করবে।’
স্বাস্থ্য বিভাগের এ সংক্রান্ত জরিপ কমিটির তথ্য মতে জেলায় প্রথম ডোজের টিকা নেননি এমন কাউকে ২৮ ফেব্রুয়ারীর পরে পাওয়া যায় নি। যে ২ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আনা যায়নি তারা জেলার বাইরে অবস্থান করছেন। পেশাগত কারণে তারা সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে টিকা নিয়েছেন। সে হিসেবে মাগুরাকে শতভাগ টিকার আওতায় আসা জেলা বলে দাবি করছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
মাগুরা জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম বলেন, ‘শতভাগ ভ্যাকসিনের কার্যক্রম ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ হয়েছে। গোটা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা শুরু থেকে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করেছি। প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা শহরের পাড়া মহল্লায় টিকা কেন্দ্র করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ দল গঠন করে হাট বাজারসহ বাড়ি বাড়ি গেয়ে টিকা দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ে মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে টিকাদানকে শতভাগ হিসাবে ধরা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল