ভাঙ্গায় স্বামী হারা এক নারীকে হাত মুখ বেঁধে রাতভর গণধষর্ণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ব্যাপারে ঐ নারী বাদী হয়ে গত রবিবার বিকালে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। সোমবার ঐ নারীর শারীরিক পরীক্ষা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে সম্পন্ন হবে। মামলায় ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। এরা হল ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামের রুবেল শেখ (২২), শাহিন কাজী (২৬), সজিব কাজী (২০), রাকিব খান (২৫), হাসিবুল ভূইয়া (২০)। সোমবার (৪ এপ্রিল) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঐ নারী জানায়, তার পিতার বাড়ি নাসিরাবাদ ইউনিয়নের খা কান্দা গ্রামে। গত বছর দশেক আগে একই ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামে তার বিয়ে হয়। গত ৪ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। তার একটি কন্যা সন্তান ও পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি ছেলে মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় গত ২৮ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে শ্বশুর বাড়ি আলেখার কান্দা গ্রামে যান। শ্বশুর বাড়ি থেকে সন্ধ্যার দিকে দুই আত্মীয়কে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেন। পথিমধ্যে আলেখারকান্দা গ্রামের আউড়া বাগ নামক স্থানে আসলে আসামীরা তাদের হাতে থাকা চাকু দিয়ে তার দুই আত্মীয়কে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে তাকে পাশের গম ক্ষেতে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন খান বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল ওই পাঁচ ব্যক্তির নামে। আমি অভিযোগ পাওয়ার পর ওই ব্যাক্তিদের নোটিশ করেছিলাম ইউপি পরিষদে আসার জন্য, কি ঘটনা ঘটেছে তা জানার জন্য। কিন্তু তারা কেউ আসেনি।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিউল আলম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঐ নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ