ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে বর ও কনে পক্ষের তিন জনকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার বিএস ডাঙ্গী গ্রামের ফিরোজ মোল্যার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সাথে বোয়ালমারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কুশাডাঙ্গা গ্রামের হারুন মীরের ছেলের বিয়ের দিন ধার্য ছিল শনিবার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় ছেলের বাড়িতে যান।
এ সময় বাল্যবিবাহ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করায় বোয়ালমারী পৌরসভার কুশাডাঙ্গা গ্রামের হারুন মীরের স্ত্রী ও ছেলের মা শরীফা বেগম (৫০), বোয়ালমারী পৌরসভার কুশাডাঙ্গা গ্রামের হোসাইন মোল্যার স্ত্রী ও ছেলের খালা শিরিন শীলা (২৫) এবং চরভদ্রাসন উপজেলার বিএস ডাঙ্গী গ্রামের ফিরোজ মোল্যার স্ত্রী ও মেয়ের মা শামীমা আক্তারের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর আলোকে এই অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই মেয়েটিকে চরভদ্রাসনের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতিতে তার মায়ের জিম্মায় প্রদান করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষ হতে মুচলেকা নেওয়া হয় যে, মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তাকে বিবাহসংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে জড়িত করা যাবে না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম বলেন, বাল্য বিবাহ নিরোধে উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে অধিকতর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর