২১ মে, ২০২২ ১৫:৫৬

দিনাজপুরে ঝড়-বৃষ্টিতে ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে ঝড়-বৃষ্টিতে ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

কালবৈশাখী ঝড়সহ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা ও ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে কিংবা ভেঙে পড়েছে। আর ফসলের মাঠে পাকা ধান, ভুট্টা, মরিচ খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতি কমাতে কৃষি বিভাগ দ্রুত এসব জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু কৃষকের সোনালী ধান পানিতে হেলে পড়া ও ডোবার ধান শ্রমিকরা কাটতে চাইছে না। এছাড়াও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। পেলে বেশি মজুরির চাহিদা। এ অবস্থায় ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে বিপাকে কৃষক। খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক লোকসান আশঙ্কায় চিন্তিত।

শুক্রবার দিবাগত রাতে বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়ে যায়। ঝড়ে উড়ে গেছে বিরামপুর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন, ক্ষতিগ্রস্ত সাইকেল গ্যারেজ, বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বিরামপুরের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে শম্পাকাটারি ধান চাষ করেছি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে ঝড় বৃষ্টিতে জমির সব ধান হেলে পড়েছে ও পানিতে ডুবে গেছে। জমির ধান সব কাটার উপযোগী। কিন্তু শ্রমিক সঙ্কটের কারণে ধান ঘরে তোলা যাচ্ছে না।

বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ঝড়ে আমার বিদ্যালয়ের হল ঘরের টিনের চালাটি উড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাইকেল গ্যারেজ এবং বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে।

এদিকে, হাকিমপুর শহরের ধরন্দা ফকিরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের মাটির ঘরের টিনের চালাটি উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘরটি মেরামত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমি একজন লেবার শ্রমিক, আয় দিয়ে কোনোমতে সংসার চালায়। একদিকে আমার স্ত্রীও অসুস্থ অন্যদিকে রাতের ঝড়ে ঘরের টিনের চালাটি উড়িয়ে আঙিনায় ফেলে দেয়।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার ৮৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ পর্যায়ে। যেহেতু ধান সব কাটার উপযোগী হয়ে পড়েছে, তাই হেলে পড়া এসব ধান দ্রুত কেটে নিলে ক্ষতি খুব বেশি হওয়ার কথা না।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর