পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে কালভার্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউপি মেম্বারসহ আটজনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মৌডুবি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেলের (৪৫) বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ওই রাতেই গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হামলার শিকার হয়েছেন, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস গাজী (৫২), একই এলাকার নাজমুল গাজী (৩৫), অপু হাওলাদার (২২), কাওসার হাওলাদার (১৮), কবির হাওলাদার (৩৫), সাদ্দাম গাজী (৩০), কামাল গাজী (২৩) ও ফিরোজ হাওলাদার (২১)।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে আহত ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস গাজী বলেন, ‘চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মাহমুদ হাসান রাসেল তার গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে ইউনিয়নের খাস জায়গা, ঘের, কালভার্ট দখল, বন বিভাগের গাছ কেটে নেওয়াসহ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেল তার গুণ্ডা বাহিনী নিয়ে আমার বাড়ির উত্তর পাশের জনগণের জন্য উন্মুক্ত একটি কালভার্ট নিয়ন্ত্রণ নিতে যায়। এসময় খবর পেয়ে আমি ঘনাস্থলে গিয়ে কালভার্ট নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে সুজন, মাসুদ, সোহাগ, নিজাম, রাকিব, নুরু, মহব্বত, রাহাত, মাহতাব, দেলোয়ার, এনামুল, আতিকসহ ২০-২৫ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, বগী দিয়ে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে জখম করে। আমার ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন আসলে নাজমুল, অপু, কাওসার, কবির, সাদ্দাম, কামাল ও ফিরোজকেও ওরা কুপিয়ে আহত করে।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেল বলেন, ‘ইলিয়াস মেম্বার মোবাইল ফোনে আমাকে বলেন যে, তার বাড়ির পাশের কালভার্টের কাছে মারামারি হচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই মারামারি শেষ হয়ে যায়।’ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. নোমান বলেন, আহতরা আমার চিকিৎসাধীন আছেন। মেম্বারসহ চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, আহত বাকি চারজনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল