বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ঈদের দ্বিতীয় দিনে (১১ জুলাই) বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর। সরকারি ছুটির মধ্যেই ওই দিন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, এমসিএইচ ইউনিট, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একই সাথে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ব্যানার প্রদর্শন, মা ও শিশুস্বাস্থ্য সেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবার- পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) আমির হোসেন গত ৬ জুলাই এই নির্দেশনা দিয়েছেন। যা শুক্রবার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা হাতে পেয়েছেন।
এদিকে সরকারি ছুটির দিনে জনসংখ্যা দিবসের কর্মসূচি ঘোষনায় বিপাকে পড়েছে অনেক চিকিৎসক ও কর্মকর্তা। তারা বলছেন, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। ঈদের ছুটি উদযাপনে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে নানা পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু এ নির্দেশনার কারনে সবকিছু বাতিল করতে হচ্ছে।
এদিকে একই চিঠিতে মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ উদযানের তারিখ ও সময়, দিবসের আলোচনা সভা, র্যালি ও পুরস্কার বিতরনীর সময়সূচি পরে জানানো হবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের কারণে মন্ত্রনালয় যদি এ কর্মসূচি পিছাতে পারে অধিদপ্তর কেন পারছে না।
এ বিষয়ে খুলনা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগীয় পরিচালক মো. হাবিবুল হক খান জানান, অধিদপ্তরের এ নির্দেশনায় পর সংশ্লিষ্টদের ছুটিতে থাকতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ওই দিন বিশেষ করে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি উদযাপিত হওয়ায় ঈদের ছুটিতে এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ