পিরোজপুর সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে (১১) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা রবিবার বিকেলে পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর পৌরসভাধীন খামকাটা এলাকার কৃষক মো. অলিউল মাহাজন (৪৫) একটি পাওয়ারটিলার দিয়ে জমি চাষ করে। সেই সুবাদে সে প্রতিবেশী ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাড়িতে পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাখত। এ কারণে ওই বাড়িতে প্রায়ই অলিউলের যাতায়াত ছিল। ঘটনার দিন গত বুধবার সকালে পাওয়ার টিলারের যন্ত্রাংশ আনার জন্য অলিউল ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাড়িতে যায়। এ সময় ঘরের মধ্য থেকে যন্ত্রাংশ নেওয়ার জন্য শিশুটিকে ঘরের দরজা খুলতে বলে। তখন শিশুটির মা ঘরে না থাকায় অলিউল তাকে সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে ঘরের মধ্যে শুয়ে থাকা শিশুটির ভাই ছুটে আসলে অলিউল সেখান থেকে সটকে পড়ে। এরপর শিশুটির মা বাড়িতে আসলে সে তার কাছে এ বিষয়ে জানায়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অলিউল স্থানীয়ভাবে মিটমাটের চেষ্টা করে। এছাড়া ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার দরিদ্র হওয়ায় তারা এ বিষয়ে প্রথমে মামলা করতে ভয় সাহস পায়নি। পরবর্তীতে আত্মীয়দের পরমর্শে থানায় মামলা দায়ের করে শিশুটির মা। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত অলিউল।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জা.মো মাসুদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম