রামধনপুর। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি গ্রাম। গ্রামে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে রয়েছে অর্ধশতবর্ষী মাটির স্কুল ঘর। সেই ঘরে চালু হচ্ছে দেশের 'প্রথম' শিক্ষা জাদুঘর।
সূত্রমতে, ১৯৭১ সালে রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় বাঁশের বেড়া ও ছনের ছাউনির একটি ঘর দিয়ে। ১৯৭৩ সালে মাটির স্কুল ঘরটি নির্মাণ করা হয়। সে থেকে ১৯৯৪ সালে পাকা ভবন নির্মাণ করার পূর্ব পর্যন্ত পাঠদান হতো এ মাটির ঘরটিতে। এখানে যারা জ্ঞান অর্জন করেছেন তাদের অনেকেই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তাদের অনেকেরই নাতি-নাতনি এখন স্কুলে পড়াশোনা করছে। তবে পাকা ভবনে এখন স্কুলে ৩টি নতুন ভবন হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন গেইট আছে। এদিকে পরিত্যক্ত মাটির ভবনটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই ভবনে জাদুঘর করার ঘোষণার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি প্রাচীন শিক্ষা সামগ্রী জমা দিতে আসছেন।
সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, এ মুহূর্তে দেশে এরকম কয়টি মাটির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন অক্ষত আছে জানি না। এখানে শিক্ষা জাদুঘর স্থাপন করা হবে। সম্ভবত এটি 'দেশের প্রথম' শিক্ষা জাদুঘর। মাটির স্কুল ভবনটিতে পাঠদান করেছেন এরকম ২ জন প্রাক্তন শিক্ষক, ভবনটিতে পড়াশোনা করছেন এমন কয়েকজন ছাত্র, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ, ৩ জন ইউপি সদস্য, স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে ভবনটি নিয়ে আলোচনা করি। মাটির স্কুল ভবনটি সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকার তহবিল সংগ্রহ করি। প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রামধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, আমিও এই স্কুলের ছাত্র। স্কুলে শিক্ষা জাদুঘর হচ্ছে জেনে এলাকাবাসী আনন্দিত। কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন বিদ্যুতের কাজ চলছে। জুলাইয়ের শেষ দিকে উদ্বোধন হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল