শ্রমিক দিবসে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলা।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাদীঘির মোড় এলাকায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে শ্রমিক ও তাদের পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার। সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের রাজশাহী জেলার উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. শরিফুল ইসলাম।
শুভসংঘের আয়োজনে ক্রীড়া অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছনা বিভাগের কর্মী ও তাদের পরিবারের প্রায় ৩০০ সদস্য অংশ নেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছেলেদের জন্য হাড়িভাঙ্গা, মোরগ লড়াই, দাড়িয়াবান্ধা, লাট্টু ঘুরানো, বিস্কুট দৌড়, মার্বেল দৌড়, স্ট্যাম্পে বল নিক্ষেপ, ফুটবল দিয়ে গোল করা খেলার আয়োজন করা হয়। এই গ্রুপে ৫০ জন বিজয়ী হয়।
মেয়েদের জন্য বিস্কুট দৌড়, মার্বেল দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, স্ট্যাম্পে বল নিক্ষেপ, ফুটবল দিয়ে গোল করা খেলার আয়োজন হয়। মেয়েদের বিভাগ থেকে ৫০ জনকে বিজয়ী করা হয়। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে বসুন্ধরা সয়াবিন তেল, বসুন্ধরা টিস্যুসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার তুলে দেন।
শুভসংঘের ক্রীড়া আয়োজনে বিজয়ী মৌমিতা দাস বলেন, শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের নিয়ে এতো সুন্দর খেলার আয়োজন করার জন্য। আজকে এখানে খেলার মাঠে খুব আনন্দ হয়েছে। এমন আয়োজনের ফলে শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্ট কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে থাকা সম্ভব হয়েছে।
আরেক প্রতিযোগী কনিকা হালদার বলেন, এত আনন্দ পাব আগে বুঝতে পারিনি। আমি একটি খেলাতে বিজয় অর্জন করতে পারিনি। তবুও অনেক আন্দন্দ হয়েছে। এই আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমি অনেক খুশি। শুভসংঘের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ছেলেদের মধ্যে খেলায় বিজয়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুব মজা হয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রী দু’জনেই খেলায় বিজয়ী হয়েছি। পুরস্কার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইমটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার বলেন, এত সুন্দর আয়োজনে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই অনুষ্ঠানে সবাই এত আনন্দ পেয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। এখানে শ্রমিক মালিকের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি। শুভসংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভালো কাজে সব সময় শুভসংঘ ছিল, আছে, আগামীতেও থাকবে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক মালিক ভেদাভেদ ভুলে সবাই আনন্দে মেতে উঠার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবু বক্কর কিনু, বসুন্ধরা শুভসংঘে রাজশাহীর সভাপতি মতিউর মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া হক, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ছিফা খাতুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আর রাফি সিরাজি অন্তর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুজ্জান সবুজ সহ বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত