মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জমিতে শ্যালো ম্যাশিন বসানোকে কেন্দ্র করে চাচা আবুল হোসেনের হাসুয়ার কোঁপে ভাতিজা মহোন হোসেন (২২) নিহত হয়েছেন। নিহত মহোন হোসেন রাজাপুর গ্রামের মৃত মজিল হকের ছেলে। বৃস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী নেওয়ার পথে নাটোর বনপাড়ায় তার মৃত্যৃ হয়।
আহত মহোন হোসেনের চাচি সাহেরা খাতুন ও স্থানীয়রা জানান কয়েকদিন পুর্বে ৪টি সেগুন গাছের চারা কাটাকে কেন্দ্র করেছাচা ভাতিজার ঝগড়ার সুত্রপাত হয়। এ ঝগড়ার পর থেকে মহোনের ধানের জমিতে পানি দেওয়া বন্ধ করে দেয় চাচা আব্দুল হোসেন। এত ধান নস্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একারনে মহোন বুধবার একটি শ্যালো ম্যাশিন কিনে আনে। এরপর সে তার চাচার মেশিন তার জমি থেকে সরিয়ে নিতে বলে। এসময় কথা কাটাকাটি হয়। চাচা আবুল হোসেনের ক্ষুদ্ধ হয়ে হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মহোনকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা মহোনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। মহোনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেওয়ার সময় নাটোর জেলার বনপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহিদি হাসান বলেন, ঘাড়ের জখম মারাত্বক, দুই কাধেও আঘাত রয়েছে, ঘারের বেশ কিছু রগ কেটে গেছে। মেহেরপুর এধরনের আঘাতের চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় ও তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবা উদ্দিন বলেন, এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম