১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৩:৩৭

রাঙামাটিতে বিলাতি ধনিয়ার বাম্পার ফলন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে বিলাতি ধনিয়ার বাম্পার ফলন

রাঙামাটিতে বিলাতি ধনিয়ার বাম্পার ফলন

রাঙামাটিতে এবারও বিলাতি ধনিয়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। শুরু হয়েছে বেচা-বিক্রি। দামে কম, মানে ভালো। তাই সবারই আকর্ষণ কেড়েছে পাহাড়ে উৎপাদিত বিলাতি ধনিয়া। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। 

চাষীরা বলছেন, এ ধনিয়া বছরের এক মৌসুমে কয়েক লাখ টাকার বাজারজাত করা যায়। তাই বছরের সাথে পাল্লা দিয়ে পাহাড়ে বেড়েছে বিলাতি ধনিয়ার চাষাবাদ, বলেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কেচিং পাড়া গ্রামের কৃষাণী বাঁধনি তঞ্চঙ্গ্যা। 

তিনি বলেন, সরকারিভাবে তেমন কোনও সাহায্য-সহযোগিতা পাই না এ বিলাতি ধনিয়া চাষাবাদে। কিন্তু তবুও আমরা এ মসলাজাত পণ্য অর্থাৎ বিলাতি ধনিয়া চাষাবাদ করি। এতে লাভ অনেক। ফলন তোলার পর আবারও একই জায়গায় বীজবপন করা যায়। তাই জমিরও বেশি প্রয়োজন হয় না। কষ্টও কম। আর ফলনও হয় ব্যাপক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির কাপ্তাই ও কাউখালী উপজেলায় ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে বিলাতি ধনিয়ার। পাহাড়ে উৎপাদিত এ বিলাতি ধনিয়া পাতার গন্ধ কড়া। পাতা চ্যাপ্টা হওয়ায় ফলন বেশি। পাতার দু’পাশে খাজকাটা। সবুজ ও ভারি এ পাতা লম্বায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার এবং চ্যাপ্টায় দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার। একবার বীজ বুনলে কয়েক বছর পর্যন্ত গাছ বেঁচে থাকে। ফলে বারবার পাতা সংগ্রহ করা যায়। সাধারণত বিলাতি ধনিয়ার সম্পূর্ণ গাছ তুলে সংগ্রহ করা হয়। মরা বা পুরনো পাতা পরিষ্কার করে আঁটি বেঁধে বাজারজাত করা হয়।

বিলাতি ধনিয়া পাতা ব্যবসায়ী আপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, রাঙামাটি জেলায় কাপ্তাই উপজেলা সাপছড়ি, ওয়াগ্গা, তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, কেচিং পাড়া ও শীলছড়ি মারমা পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বিলাতি ধনিয়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বিলাতি ধনিয়াপাতা সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকি। পাইকারি বাজারে এ ধনিয়া ৬০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আর খুঁচরা বাজারে ৮০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত কেজি ধরে বিক্রি করা যায়। ধনিয়া পাতা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক কৃষক পরিবার।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, বিলাতি ধনিয়া পাহাড়ি এ অঞ্চলে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে। পাহাড়ের কৃষাণ-কৃষাণীরা বিলাতি ধনিয়া চাষ করে যাতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে, সেজন্য রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে। তাছাড়া এ ধনিয়াতে তেমন কোনও রোগবালাই দেখা যায় না। সম্প্রতি অতিরিক্ত গরম ও তাপদাহের কারণে বিলাতি ধনিয়া পাতায় ছত্রাকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের মাঠ পর্যায়ের কাজ করছে কৃষি কর্মকর্তারা। এবার রাঙামাটির কাপ্তাই ও কাউখালী উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিলাতি ধনিয়া পাতা চাষ হয়েছে। আর এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫০ টন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর