শত বছরের বেশি সময় আগে স্থাপন হওয়া ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ রেল সড়কের সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে সেতুগুলো। সম্প্রতি এ সড়কের ২৫ নং রেল সেতুটির পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইটগুলো খুলে পড়ছে। ফলে সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে ঢাকা-উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৪২টি ট্রেন। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে সেতুর সংস্কার কাজ চলার কারণে দু-পারে ট্রেন থামিয়ে ধীর গতিতে পার করা হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সূত্রে জানা যায়, ১৯১৫-১৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পাবনার ঈশ্বরদী থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত চলনবিলের বুক চিরে রেলসড়ক তৈরি করেন। ওই রেলসড়ক সাথেই নির্মাণ করা হয় পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি সেতু। যেসব সেতুর স্থায়ীত্বকাল ধরা হয়েছিল ১০৫ বছর।
ইতোমধ্যে সেতুগুলো শতবর্ষ পূরণ করেছে। এসব সেতুর মধ্যে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বাউনজান এলাকায় চলনবিলের একটি শাখা নদীর উপর দিয়ে গেছে ২৫ নম্বর রেলসেতু। সম্প্রতি সেতুটির পিলারে ফাটল ও ক্ষত দেখা দিয়েছে। পিলারে ইটের গাঁথুনিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইটগুলো খুলে পড়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে সংস্কার কাজও শুরু করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ।
ভাঙ্গুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল মালেক জানান, ২৫ নম্বর সেতুর পিলারে কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেখানে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুর রহমান বলেন, পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ সবগুলো সেতুই একশ’ বছরেরও বেশি সময় পার করেছে। যে কারণে সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ২৫ নম্বর রেল ব্রিজটিতে একটি নৌযান ধাক্কা মেরেছিল যে কারণে একটু ফাটল দেখা দিয়েছে। সেগুলো সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তবে ট্রেন চলাচলে তেমন ঝুঁকি নেই। প্রতি বছরই এসব সেতু সংস্কার করা হয়। আর সংস্কার কাজের জন্যই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ট্রেনের গতি কমানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল