টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছড়িয়ে পড়ছে ছোঁয়াচে ভাইরাস কনজান্টিভাইটিস বা চোখের প্রদাহ রোগ, যা ‘চোখ ওঠা’ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নারী, পুরুষ, শিশু ও বয়স্কদের মধ্যেও এ রোগ দেখা দিচ্ছে।
প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ জন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন। কিন্ত চোখের কোন ডাক্তার বা কনসালটেন্ট নেই সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা পড়ছেন বিপাকে।
জানা যায়, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি ও চোখে পানি পড়া রোগ নিয়ে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে আসছে মানুষ। বয়স্ক ও শিশুদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ রোগ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসা রোগিরা ডাক্তার না পেয়ে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যান্য বিষয়ের চিকিৎসক থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো চোখের ডাক্তার নেই। অনেকেই বাধ্য হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন কেউবা প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পৌর এলাকার তুষার আহমেদ নামের এক চা বিক্রেতা বলেন, সখীপুর সরকারি হাসপাতালে চোখের কোন ডাক্তার নেই এবং কোন ওষুধও নেই। স্থানীয় ফার্মেসী থেকে একটি ড্রপ কিনে ব্যবহার করছি। এখন আল্লাহর রহমতে ভালো হয়ে যাচ্ছে।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন মুকুল বলেন, ‘এই ভাইরাসটা ছোঁয়াচে এবং সারা দেশেই কম বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই থাকতে হবে। বাহিরে গেলে চোখে কালো চশমা দিতে হবে। এই সময়টা একটু সাবধানে ও সচেতন থাকলে ভয়ের কিছু নেই।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল