ভোলার চরফ্যাশনে রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের পরে বিক্ষুব্দ জনতার তোপের মুখে পালিয়ে গেছে ৪ কিশোর কসাই। এরা হলেন নোমান, রাসেল,কবির ও রায়হান। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন কসাই বাজারে রোগাক্রান্ত গরুটি জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাইদ গরুটি জবাই করতে নিষেধ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই চার কিশোর কসাই বাজার থেকে ২শ গজ দূরে ৮নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান দফাদার বাড়ির অদূরে বাগানে লোকচক্ষুর আড়ালে রোগাক্রান্ত গরুটি জবাই করে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গরুটি জবাই করা হয়েছে মারা যাওয়ার পরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আরও জানান, কিশোর কসাইরা ভোরে খালপাড় দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে পশুটি নিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরলে খালপাড়ের পাশে বাগানে নিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে কসাইদের ব্যাগে থাকা দা' দিয়ে জবাই করে।
জানা গেছে, মাংস বাজারে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঙ্গলবার ভোরে কসাইঘরে পরীক্ষার পরে গরুটি অসুস্থ ও রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গো-মাংস মানব দেহের জন্য উপযোগী না হওয়ায় জবাই দিতে নিষেধ করে। এরপর কিশোর কসাইচক্ররা মালিকের সাথে শর্তআরোপ করে বাজার থেকে নিয়ে যায় গরুটি।
ঘটনার পরপরই চরফ্যাশন পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন। পৌর মেয়র ঘটনাস্থলে আসার পরে পুলিশ বাগান থেকে মাংস উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ সহকারী কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, নিষেধ করার পরও রোগাক্রান্ত গরুটি বাজারে বা ফ্রিজিং করে বিক্রির জন্য কসাইরা লোকচক্ষুর আড়ালে জবাই করে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল