চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক উল্লাহ (৭০) হত্যার সাথে জড়িত যুবক অমিত দাস ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের দাবি, পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আরো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। নিহতের ভাতিজা তন্ময় বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, রফিক উল্লাহকে হত্যার সাথে জড়িত যুবক অমিত এর পিতা গৌতম দাস। সে পুরানবাজার দাস পাড়ার গনেশ দাসের বাড়িতে বসবাস করতো। অমিত শহরের গনি মডেল আদর্শ বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়রত ছিল।
পুলিশ জানান, অমিতের সাথে রফিক উল্লাহর অনেকদিনের সখ্যতা ছিল। সে প্রায়ই রফিক উল্লাহর বাসায় আসা যাওয়া করতো। ঘটনার একদিন পূর্বে ও ঘটনার দিন সে বাসায় এসেছে এবং ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে এই বাসা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়, যা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া জানান, ভিডিও ফুটেজ, আত্মহত্যাকারী যুবকের জুতা, প্যান্ট, শরীরে পরিহিত কালো গেঞ্জি, তার পিতা-মাতার চিহ্নিত করা ও নিহত রফিক উল্লাহর মোবাইল থেকে পাওয়া কললিস্ট অনুযায়ী নিশ্চিত হয়েছি এই হত্যাকাণ্ডে অমিত জড়িত। এখন তার লাশের ডিএনএ টেস্ট করার পর শতভাগ নিশ্চিত হতে পারবো লাশটি মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী অমিতের লাশ কিনা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল রশিদ দাবি করেন, আত্মহত্যা করা অমিত যে হত্যাকারী তা সুনিশ্চিত। আমাদের ধারণা সে হত্যা করার পর নতুনবাজার এলাকা থেকে পালিয়ে আল-আমিন হাসপাতাল এলাকা দিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে প্রায়শ ওই বাসায় যেত। ঘটনার দিন সে বাসায় তাকে বাসার কেয়ার টেকার মিরাজ দেখেছে। মিরাজ তার জুতা, প্যান্ট ও গেঞ্জি দেখে চিহ্নিত করেছে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক উল্লাহ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের নতুনবাজার সফিনা হোটেলের তৃতীয় তলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন। রফিক উল্লাহ ওই এলাকার বাসিন্দা মরহুম হেদায়েত উল্যাহ কোম্পানীর ছেলে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক