নেত্রকোনায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে সার্বজনীন দুর্গোৎসব। জেলার ব্যক্তি মালিকানা ও সার্বজনীন মিলিয়ে ৫২৩টি মন্ডপে এ দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হযেছে। পূজার শুরু থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বয় করে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সম্প্রীতি সমাবেশসহ শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রতিটি উপজেলায় আলাদা আলাদা ভাবে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন। পৌরসভা থেকেও নেয়া হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবক টিম। প্রতিদিন টহল পুলিশের পাশাপশি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে মন্ডপ পরিদর্শন শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হয়। ফলে জেলায় এবার শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবাগত পুলিশ সুপার জেলায় এসেই মাদক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিবচালনা করে প্রতিদিন জেলার ১০ থানায় চিহ্নিত মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান চালায় নিয়মিত। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ সুন্দর রাখতে প্রতিটি মন্ডপে মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়। যা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করে। পূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
প্রতিটি মন্ডপে এবার জেলা প্রশাসন থেকে সরকারী ভাবে ৫০০ শত কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। নেত্রকোনার সাতপাই লাবন্য কুঠির মন্দির, রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দির, কালিবাড়ি শিব মন্দির, বড় বাজার মন্দির, একতা সংঘ সহ ব্যাক্তি ও সার্বজনীন মন্দিরগুলোতে পূর্জা অর্চনায় ভক্ত পূজারিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে।
সাতপাই লাবন্য কুঠির মন্দিরের আয়োজক দোলন সরকার জানান, তারা পৈত্রিকভাবে পূজাটি করে আসছেন নিজ বাসায়। এখানে কখনোই কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িতা চোখে পড়েনি। নিজেদের উদ্যোগে শত বছর পেরিয় গেছে এই দুর্গাপূজায়। প্রতি বারের ন্যায় এবারো এই এলাকার সকল ধর্মের বর্ণের গোত্রের মানুষদের নিয়ে এই পূজা উদযাপন করেছেন তারা।
তিনি বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধি প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম পারিকারিকভাবে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে আমাদের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বিগত দিনেও পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকসহ নানা সহযোগিতা করেছেন। এখনো করছেন। শুধু আমাদের পূজাই নয় সাতপাই এলাকার অন্যান্য পূজাগুলোতেও বাড়তি নজরদারি রেখে আলোকসজ্জাসহ সকল কিছুতে সহায়তা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম