ফরিদপুরে একটি ফার্ম থেকে এক নারী শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিসের এগ্রো ফার্মে অবস্থিত শ্রমিকদের আবাসিক কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গৃহবধূর নাম শান্তা (২২)। তার স্বামীর নাম বাচ্চু শেখ (৪২)। তাদের দুজনের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায়। শান্তা ও বাচ্চু ওই ফার্মে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শান্তা ছিলেন শ্রমিক এবং বাচ্চু ছিলেন সুপারভাইজার।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই ফার্মের অন্যান্য শ্রমিকরা আবাসিক কক্ষে শান্তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি ওই ফার্মের মালিককে জানান। পরে ফার্মের মালিক ইদ্রিস মিয়া ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বাচ্চু শেখ পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে শান্তার সাথে তার ঝগড়া বিবাদ হতো। পরকীয়ায় বাধা দেবার কারণেই বাচ্চু শান্তাকে হত্যা করেছে।
কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে শান্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্বামী বাচ্চু শেখ পলাতক থাকায় তিনিই এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পরকীয়ার জেরে বাচ্চু ও শান্তার মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক সংকট চলে আসছিল।
এসআই সুজন বিশ্বাস আরও জানান, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই