আট মাস বয়সী শিশু মো. ইমরান হাসানকে হত্যার দায়ে মা হামিদা আক্তারকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল আটোয়ারি উপজেলার দোহসুহ গ্রামের হামিদা বানু তার ছেলে ইমরান হোসেনকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করেন। এই ঘটনায় শিশুটির চাচা মজনু হক বাদী হয়ে চার জনের নামে আটোয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন হামিদা আক্তার (২২), তার মা খোদেজা বেগম (৪৫), হামিদা আক্তারের বাবা হাসান আলী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় স্বামী তেঁতুলিয়া উপজেলার লথিবগঞ্জ এলাকার আক্তারু ইসলামের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয় হামিদা আক্তারের। এরপর শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাপের বাড়ি আটোয়ারী দোহসুহ গ্রামে ফিরে যান তিনি। ১২ এপ্রিল দুপুরে ঘুমানোর সময় শিশু ইমরানকে বালিশ চাপা হত্যা করেন তিনি ।
হামিদা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিশুটির মা হামিদা আক্তারকে প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে তিজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে বুধবার হামিদা বানুর উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করে। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি আদালতে চলমান ছিল। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা মেলায় আদালত প্রধান আসামি হামিদা আক্তারকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এই মামলার অপর দুই আসামি হামিদার মা খোদেজা এবং বাবা হাসান আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল