হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রধান ফটকটি যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নির্দিষ্ট ডাস্টবিন থাকলেও প্রতিনিয়ত ময়লা, মেডিকেল বর্জ্য ও খাবারের উচ্ছিষ্টসহ যাবতীয় আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ফটকটির সামনে। যে কারণে বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন জেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীসহ তাদের স্বজনরা। এছাড়াও বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল এলাকার ব্যবসায়ীরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে দ্রুত এসব ময়লা অপসারণ করা হবে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ ও আয়ারা ড্রামভর্তি ময়লা আবর্জনা হাসপাতালের একেবারে প্রধান ফটকের কাছে রেখে যাচ্ছে। এছাড়াও রোগী ও তাদের স্বজনরাও নিজেদের উচ্ছিষ্ট ময়লা ব্যাগ ভর্তি করে সেখানে ফেলছে। যে কারণে গত কয়েকদিনে ফটকটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অনেককে আবার প্রধান ফটকের সামনে আসলেই নাক চেপে ধরে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। যে কারণে সাধারণ রোগীরা বলছেন, রোগ সারাতে এসে ভাল মানুষও এখানে রোগী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক আহমেদ জানান, হাসপাতালের এই প্রধান ফটক দিয়ে শুধু রোগী ও তাদের স্বজনরাই আসা যাওয়া করে না, এখানে অনন্তপুর, শায়েস্তানগর, জঙ্গলবহুলাসহ আশপাশের কয়েকটি পাড়ার মানুষ যাতায়ত করে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের ময়লা-আবর্জনা এখন স্তুপ হয়ে গেছে। যে কারণে বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। যদি দ্রুত এসব ময়লা অপসারণ করা না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়বে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ফজল মিয়া জানান, মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এখানে ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। তারা যদি সঠিকভাবে মনিটরিং করতো, তাহলে এমনটা হতো না।
ব্যবসায়ী রুবেল আহমেদ জানান, এটা জেলা সদর হাসপাতাল। এ হাসপাতালের সামনে এমন ময়লার ভাগাড় চিন্তাই করা যায় না। ময়লার কারণে ফটকটির সামনে কেউ এক মিনিটও দাঁড়াতে চায় না। এছাড়াও দুর্গন্ধের কারণে আমরা ব্যবসায়ীরাও ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছি না। কিছুক্ষণ পরপরই বাতাসে দুর্গন্ধ আসছে। আমরা চাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমি হবিগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি। দ্রুত এসব ময়লা অপসারণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই