নোয়াখালীর হাতিয়ায় গণিত অলিম্পিয়াড প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসেন। চাঁদা দিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসানের উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসেনকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সত্যতা নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম। তিনি বলেন, বুধবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজোয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত চিঠি মেইলে পেয়েছি। গত বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজোয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ ৩ এর (খ) ধারা অনুযায়ী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় সরকারি চাকুরী আইন ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসনকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে হাতিয়া উপজেলার সদর ওছখালীতে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান (৩৯) হামলার শিকার হন। পরে এ ঘটনায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ডাটা এন্টি অপারেটর ছাকায়েতের নের্তৃত্বে ৮ থেকে ৯ জন মুখোশধারী ব্যক্তি তার পথ আটকায়। এরপর তারা কামরুল হাসানকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। এর আগে, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেন গণিত অলিম্পিয়াড প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের কাছে ‘৫০০ টাকা করে চাঁদা’ দাবি করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষককে ‘মারধর করেন’ ছাকায়েত। এ ঘটনার ছাকায়েতের বিচার চেয়ে সোমবার শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ